ছেলে মেয়েকে উচ্চশিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন ক্ষেতমজুর বাবা। কিন্তু অর্থই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় মেমারীর ঘোষগ্রামের বাসিন্দা ক্ষেতমজুর পরিবারের কর্তা সুভাষ বাগ(৪২)-এর। আর আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণে এবছরের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম শ্রেণিতে পাশ করা ছেলে ইন্দ্রজিত বাগকে কলেজে ভর্তিও করাতে পারছিলেন না। অভিযোগ, সেই মানসিক হতাশার জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতি হয়েছেন সুভাষ বাগ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

মৃতের ভাই প্রভাস বাগ ও আত্মীয় বোধন বাগ জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরে মনমড়া ছিল সুভাষবাবু। ঠিকমত কথাও বলতেন না কারও সঙ্গে। জিজ্ঞাসা করা সত্বেও কাউকে কিছু জানাননি। তবে তাঁরা জেনেছেন, মেমারীর গন্তার বিএম হাইস্কুল থেকে ৩০৩ নম্বর পেয়ে ছেলে ইন্দ্রজিত বাগ এবছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। মেয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। সুভাষবাবু ছেলেকে উচ্চশিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। একদিকে, ছেলেকে কলেজে ভর্তি করা এবং তার পরবর্তী লেখাপড়ার ব্যবস্থা করতে প্রয়োজন ছিল টাকা। কিন্তু সামর্থ্য ছিল না। ক্ষেতমজুরের কাজ করে সংসার প্রতিপালন করে ছেলে মেয়েকে উচ্চশিক্ষা দিতে তাই আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। উল্লেখ্য, মেয়ে প্রিয়াংকা বাগ আগামী বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। আর এই অর্থ বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় হতাশা থেকেই আত্মঘাতি হন তিনি। মৃতের আত্মীয় বনমালী বাগ এদিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তালপুকুরের পাড়ে জামগাছে নাইলন দড়ির ফাঁসে সুভাষবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে মেমারী থানার পুলিশ। এদিন গ্রামবাসীরা মাঠে প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

Like Us On Facebook