বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বিদ্যুৎ দফতরের ১ ঠিকাকর্মীর, আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ১ ঠিকা কর্মী বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার খানো মোড় এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম সনৎ বাগদী। আহতের নাম সুমন বাগদী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খানো মোড়ের কাছে মাঠের মধ্যে ১১ হাজার ফিডার লাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছিলেন ওই দুই কর্মী। হঠাৎই তাঁরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিদ্যুৎবাহী পোলের তারে ঝুলে যান। তড়িঘড়ি স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে পুরষা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সনৎ বাগদীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে সুমন বাগদীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিদ্যুৎ দপ্তরের বর্ধমান নর্থ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ইমদাদুল মন্ডল জানিয়েছেন, যে স্থানে কাজ চলছিল সেখানে একাধিক বাল্ক লাইন আছে।প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে কেউ বা কারা জেনারেটার চালানোর জন্যই হয়তো লাইন ব্যাক করে এই ঘটনা ঘটেছে, তবে সামগ্রিক তদন্তের পরই সঠিক কারণ বলা যাবে। পাশাপাশি কর্মীরা নিরাপত্তা সামগ্রী ব্যবহার করছিলেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তার সামগ্রিক তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশও।
অন্য একটি ঘটনায় ক্ষেতমজুরের কাজে গিয়ে জমির মধ্যেই ছেঁড়া বিদ্যুৎবাহী তার জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১ মহিলার মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল গলসি থানার বেলান গ্রামে। মৃতের নাম আরতি রুইদাস (৫৫)।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে জমিতে ধান রোয়ার কাজে যান আরতী রুইদাস। অভিযোগ, কাজ করার সময়ই জমির উপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে পড়লে তাতে জড়িয়ে যান আরতী রুইদাস। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে আদড়াহাটী স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও তার ছিঁড়ে পড়ার কথা অস্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ দফতরের বর্ধমান নর্থ ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার ইমদাদুল মন্ডল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।