গলসির ঘাগড়া গ্রামে দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলে পুলিশ। আদালত দু’জনের পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
শনিবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাদের ধরে। ২০টি তাজা বোমা সহ বেশ কিছু লাঠি, পাইপ, তরোয়াল উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, বোমাবাজির ঘটনায় ১৫ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের আগে থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল গলসি-১ ব্লকের ঘাগড়া গ্রামে। শুক্রবার রাতে সেখ আবু সালামকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাত থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে এলাকা। শনিবার ভোর থেকে দুই গোষ্ঠীর সেই দ্বন্দ্ব চরমে উঠলে দুই পক্ষই একে অপরের উপর বদলা নিতে প্রস্তুতি শুরু করে। ফলে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয় এবং গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শনিবার দুপুর থেকে গলসি-১ ব্লকের ঘাগড়া গ্রাম উতপ্ত হয়। জানা গেছে, এদিনের ঘটনায় সাত জন আহত হয়। যদিও গলসি-১ ব্লক সভাপতি জাকির হেসেনের জানান, ঘটনার সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে।