ইসিএলের পণ্য পরিবহণকারী ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে উল্টে গেলে মৃত্যু হল ২ জনের, জখম ৯ জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটে রানীগঞ্জে মঙ্গলপুর শিল্পতালুক এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর।
জানা গেছে, এদিন ইসিএলের সোদপুর ওয়ার্কশপ থেকে বাঁকোলা এরিয়ার কুমারডিহি-এ কোলিয়ারিতে যাওয়ার পথে মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের কাছেই শ্যাম অ্যাগ্রো সংস্থার সামনেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আচমকাই উল্টে যায় ডাম্পারটি। এদিনের এই ঘটনায় ওই ডাম্পারে থাকা ১১ জনের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকি ৯ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রানীগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁদের দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতরা হলেন উখরা ৪ নম্বর এলাকার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের বিকালী রায়, কুমারডিহির বাসিন্দা ঠিকা কর্মী বছর পঁয়ত্রিশের ঝন্টু গড়াই। আহতরা হলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা সুপ্রিয় মণ্ডল, ঝাঁঝরা কলোনির বাসিন্দা প্রমোদকুমার বিন্দ, গৌরণ্ডি পানুরিয়ার বাসিন্দা আব্দুল বারিক, উখড়া রবীন্দ্র পল্লীর বাসিন্দা বীরেন গড়াই, কুমারডিহির বাসিন্দা উত্তম বাউরী, বাঁকোলার বাসিন্দা বিজয় বাহাদুর আহির, কুমারডিহির বিশ্বনাথ নায়ক, তুফানি সাও।
এদিন এই ঘটনার পর রানীগঞ্জের ওই হাসপাতালে আহতদের দেখতে হাজির হন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং। তিনি এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন, কিভাবে ঘটনা ঘটল তা নিয়েও তিনি তদন্ত করার দাবি করেন। এদিকে, ইসিএলের পণ্য পরিবহণের গাড়িগুলোর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জরাজীর্ণ গাড়িগুলিকে ইসিএলের পরিবহণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, এরফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।