সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির ডেপুটেশন চলাকালীন তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন উপাচার্য্যের চেম্বারে। এই ঘটনায় বুধবার তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত ইসি মিটিং বাতিল করতে হল উপাচার্য্যকে।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি কর্মচারি সংগঠন তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে মিছিল করে উপাচার্য্যের চেম্বারে উপস্থিত হয়। সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যরা প্রথমে ডেপুটেশন দিতে উপাচার্য্যের চেম্বারে প্রবেশ করে। অভিযোগ, এই ডেপুটেশন চলাকালীন তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের কিছু সদস্য উপাচার্য্যের চেম্বারে ঢুকে পরে। সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যরা আপত্তি জানালে উপাচার্য্য ও ইসি সদস্যদের সামনেই উভয় সংগঠনের সদস্যরা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পরে। তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক ছাত্রদের উপাচার্য্যের চেম্বার থেকে বেড়িয়ে যেতে অনুরোধ করলে ছাত্ররা উপাচার্য্যের চেম্বার থেকে বেরিয়ে যায়। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও পুনরায় রাজবাটির গেটের কাছে তৃণমূলের দুই ছাত্র সংগঠন গোলমালে জড়িয়ে পরে। রাজবাটি চত্বরে বিশাল সংখ্যক পুলিশ পৌঁছায় এবং পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর বেলা ১টা ২৫ মিনিট নাগাদ উপাচার্য্য বুধবারে বেলা ১২টায় নির্ধারিত ইসি মিটিং বাতিল করেন। এরপর সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যরা উপাচার্য্যের চেম্বার থেকে বেড়িয়ে আসেন। এরপর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারি সমিতির সদস্যরা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে উপাচার্য্যের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকরা ইসি মিটিং বাতিল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে উপাচার্য্য এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।