প্রায় ৩৫০ বছর আগে শুরু হয় আউশগ্রাম-২ ব্লকের কালিকাপুর জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। তৎকালীন বর্ধমান মহারাজার দেওয়ান পরমানন্দ রায় শুরু করেছিলেন এই পুজো। এখনও এই দুর্গাপুজোয় সংকল্প হয় বর্ধমানের রাজা বিজয়চাঁদ ও উদয়চাঁদের নামে।
রায় পরিবারের অষ্টম পুরুষ লাজপত রায় জানান, রাজ আমলে রাজপরিবারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকতেন এই পুজোয়। তখন মহা ধুমধাম ও আড়ম্বরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হত এই পুজো। এখন সেই আড়ম্বর আর নেই। বর্তমানে রায় পরিবারের প্রায় ৩০০ সদস্য। অধিকাংশ সদস্য কর্মসূত্রে বাইরে থাকলেও পুজোর কয়েকটা দিন প্রায় সকলেই চলে আসেন কালিকাপুরে। আত্মীয় স্বজনে ভরে ওঠে রায়বাড়ি। হাসি, মজা, আড্ডা আর খাওয়া-দাওয়ায় কেটে যায় পুজোর দিনগুলো।
জানা গেছে রায়বাড়ির পুজোয় পুরানো রীতি মেনেই এখনও পুজোর ১৩ দিন আগে হয় দেবীর বোধন পাশাপাশি শুরু হয় চণ্ডীপাঠ। এই জমিদার বাড়ির পুজোর আর এক বৈশিষ্ট হল সপ্তমীর দিন কলাবউকে পালকিতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্নান করাতে। সপ্তমী থেকে নবমী তিন দিনই হয় ছাগবলি।
লাজপত রায় আরও জানান, আগে পুজোর সময় প্রতিদিনই নাটক, যাত্রাপালা ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হত। বর্তমানে ভগ্নপ্রায় বিশাল এই জমিদার বাড়িতে মাঝেমধ্যেই সিনেমা বা সিরিয়ালের শুটিং হয়।