চায়ের সঙ্গে মাদক খাইয়ে মোবাইল ও টাকা লুটের অভিযোগ বর্ধমান রেল স্টেশন চত্বরে। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ২২ বছরের যুবক শেখ রাজন আলি জম্মু তাওয়াই ট্রেন থেকে নামে বর্ধমান স্টেশনে। রাজনের বাড়ি গোঘাট থানার একলক্ষ্মী গ্রামে। রাতে বাস না পেয়ে রাজন স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সময় হঠাৎ মধ্যবয়সী এক অপরিচিত ব্যাক্তি আলাপ জমায় এবং বাড়ি ফেরার জন্য ট্যাক্সি করে দেবে বলে রাজনকে চা খাওয়ায়। চা খেয়ে রাজন বেহুঁস হয়ে পড়লে তার পকেট থেকে টাকা ও মোবাইল বের করে নিয়ে ওই ব্যাক্তি চম্পট দেয়। রাজনকে বেহুঁশ অবস্থায় বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুরে তার জ্ঞান ফেরে। রাজনের কাছ থেকে তার বাবার ফোন নম্বর সংগ্রহ করে পুলিশ তার বাড়িতে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাজনের পরিবার বর্ধমান থানায় ছুটে আসে।
রাজনের মা সাবিনা বেগম জানান,”রাজন পাঞ্জাবে সোনার দোকানে কাজ করে। গতকাল রাত ১১টায় ট্রেন থেকে বর্ধমান স্টেশনে নামার পর এক অপরিচিত ব্যাক্তি রাজনের সঙ্গে আলাপ জমায়। রাজনের কাছে ছিল দু’টি ব্যাগ মোবাইল ফোন ও দশ হাজার টাকা। ওই অপরিচিত ব্যাক্তি বাড়ি ফেরার জন্য ট্যাক্সি করে দেবে বলে রাজনকে চা খাওয়ায়। চা খেয়ে রাজন বেহুঁস হয়ে পড়লে ওই ব্যাক্তি টাকা ও মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয়। ব্যাগ সমেত রাজনকে বেহুঁস অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এক পুলিশ কর্মী তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা বর্ধমান থানায় ছুটে আসি ছেলেকে নিতে।”