গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের পুষ্টি বৃদ্ধি করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে চলছে এই পুষ্টিবৃদ্ধির কাজ। কিন্তু তারই মাঝে গোটা জেলার প্রায় ৩৯৪টি শিশুর মধ্যে একেবারেই অত্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে ১৬৩টি শিশুকে চিহ্নিত করে তাদের দ্রুততার সঙ্গে পুষ্টিবৃদ্ধি করার কাজের সূচনা করলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। শনিবার তিনি বর্ধমান ২নং ব্লকের নবস্থা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোধপুর ও বেগুট গ্রামের দুই শিশুর দায়িত্ব নিলেন। এদিন এই শিশুদের পরিবারের হাতে জেলাশাসক তুলে দিলেন মুসুর ডাল, সয়াবিন, ছাতু, ঘি এবং একমাসের জন্য ১৫টি ডিম। একইসঙ্গে এদিন বর্ধমান ২নং ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার শিশুদের মায়ের হাতে তুলে দিলেন জামাকাপড় এবং পুতুল।
জেলা প্রশাসন তথা আইসিডিএস দফতর সূত্রে জানা গেছে, গোটা জেলা জুড়ে ব্লক আধিকারিক, আইসিডিএস, স্বাস্থ্য দফতর এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যৌথ একটি টিম গোটা জেলা জুড়ে শিশুদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বাড়ি বাড়ি খোঁজ খবর নেন। এই খোঁজ খবরেই উঠে আসে গোটা জেলায় ৩৯৪টি শিশুর স্বাস্থ্যের হাল অত্যন্ত খারাপ। যাদের মধ্যে ১৬৩জনের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং তাদের দ্রুততার সঙ্গে পুষ্টি বৃদ্ধির পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। আর এরপরেই গোটা জেলা জুড়ে শুরু হয় অভিযান। দেওয়া শুরু হয় পুষ্টিবর্ধক খাবার। আর এই ১৬৩টি শিশুর জন্য গোটা জেলা থেকেই আগ্রহীদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। আর সেই আগ্রহেই শনিবার জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এগিয়ে এসে দুটি অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য এগিয়ে এলেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে বাকি শিশুদের জন্যও এই সহায়তা দেওয়া শুরু হচ্ছে। জানা গেছে, এই ১৬৩টি অপুষ্টিতে ভোগা শিশু ছাড়াও কিছু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু রয়েছে এবং কিছু শিশু রয়েছে যাদের শারীরিক অবস্থা ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে এই শিশুদের জন্য আলাদা করে নজর দেওয়া হচ্ছে। এদিন বর্ধমান ২ ব্লকে জেলাশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইসিডিএসের প্রকল্পাধিকারিক পাপিয়া হালদার চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান ২-এর বিডিও সুবর্ণা মজুমদার সহ এই ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্পাধিকারিক, আইসিডিএসের সুপারভাইজার, এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী প্রমুখ।