আসন্ন দুর্গাপুজোর জন্য প্রতিবছরের মত এবছরও জেলার বিভিন্ন বড় বড় পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে এক সমন্বয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে আয়োজিত এই সভায় হাজির ছিলেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম নিয়োগী সহ জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরাই।
এদিন মূলত বর্ধমান সদর উত্তর ও দক্ষিণ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের সভায় ডাকা হয়। বারোয়ারি পুজো সম্পর্কে প্রশাসনিক সতর্কতা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার পর পুজো উদ্যোক্তাদের কি কি সমস্যা তা জানাতে বলা হয়। আর সেই সময় বর্ধমান শহরের কাঁটাপুকুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পক্ষে বুদ্ধদেব সামন্ত সরাসরি বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকের কাছে জানতে চান, গতবছর মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য বিদ্যুতে ২৩ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু সেই টাকা এখনও তাঁরা পাননি। উত্তর দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক জানান, যাঁরা গত বছর ষষ্ঠীর দিন আবেদন করেছিলেন তাঁদের সেই টাকা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকের এই উত্তর পেয়েই গোটা সভায় রীতিমত শোরগোল শুরু হয়ে যায়। একের পর এক পুজো উদ্যোক্তারা নানাবিধ প্রশ্ন তুলে জানান, তাঁরাও টাকা পাননি। এমনকি যেখানে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সেখানে এই টাকা না দেওয়ার পিছনে কি কারণ থাকতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন ছুঁড়তে থাকেন পুজো উদ্যোক্তারা। এরই পাশাপাশি বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা তাঁদের সমস্যা সম্পর্কে জানান। সভায় হাজির ছিলেন বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলররাও। জেলা পুলিশ সুপার এদিন জানান, কোন কোন পুজো উদ্যোক্তা জোর করে চাঁদা আদায় করছেন। এব্যাপারে পুজো উদ্যোক্তাদের সতর্কও করে দেন তিনি। তিনি জানান, জোর করে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলাও করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।