এবার টোটো যন্ত্রণা থেকে বর্ধমান শহরবাসীকে রেহাই দিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করলো জেলা প্রশাসন। বর্ধমান শহরে যানজট কমাতে টোটো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী, জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিক, পঞ্চায়েত ও পুরসভা প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন বিভিন্ন টোটো ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, টোটো ইউনিয়নগুলির কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুসারে বর্ধমান শহরে প্রায় ১৪ হাজার টোটো চলছে। এর মধ্যে কিছু টোটো টিন নম্বর পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত এলাকা থেকেও অনেক টোটো চলে আসছে বর্ধমান শহরে। এদিন এই বিষয়গুলি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পুরসভা ও পঞ্চায়েতের টোটোগুলিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হবে। এরফলে পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকার টোটো সহজেই বোঝা যাবে। জিটি রোড দিয়ে টোটো চলাচল করবে না। কোন কোন রাস্তায় কোথায় কোথায় টোটো স্ট্যাণ্ড থাকবে তা চিহ্নিত করা হবে। প্রত্যেকটি টোটোকে নির্দিষ্ট রুটেই চলাচল করতে হবে। এজন্য প্রতিটি টোটোতেই রুট লেখা থাকবে। সরকার নির্ধারিত টোটোগুলিকেই চলতে দেওয়া হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পরিবহণ দফতর থেকে যাঁর নামে টোটোর রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে তাঁকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এবং তিনিই টোটো চালাবেন। শুধু তাই নয়, প্রতিটি টোটোতেই রাখতে হবে পরিবহণ দফতর, পুরসভা, পঞ্চায়েত দফতরের যাবতীয় কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রভৃতি। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে টোটো চালকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন সেজন্য পরিবহণ দফতরের অফিসে পৃথক কাউন্টার থাকবে।’
এদিন পুলিশ সুপার জানান, জাতীয় সড়ক এবং জিটি রোড দিয়ে টোটো চলাচল করতে দেওয়া হবে না। টোটো চালকরা কেবলমাত্র পারাপারের জন্য জিটি রোড ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া টোটোর রুট, টোটোর স্ট্যাণ্ড প্রভৃতিগুলি আগামী এক মাস তথা ডিসেম্বর মাস জুড়ে তৈরি করা হবে। এরপর আগামী নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পুলিশ ও প্রশাসন যৌথভাবে সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করতে রাস্তায় নামবে।