গরীব মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন মূলক প্রকল্প গুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে গেছেন তাই আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প সহ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পগুলি থেকে যাতে গরীব মানুষ সুবিধা পায় সেটা রাজ্য সরকারের দেখা কাজ, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন এই সব প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা যদি মোদীকে ভোট দিয়ে দেয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা যাতে মানুষ না পায় তার জন্য বাধা সৃষ্টি করছেন। সোমবার বিকেলে দুর্গাপুরের কাঁকসার কুলডিহাতে এসে রবিবার দুর্গাপুরে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের হেল্থ কার্ড বিলি করতে গিয়ে শাসক দলের কর্মীদের হাতে পিয়নের শারিরীক হেনস্থা ও স্থানীয় মানুষের প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলতে গিয়ে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দীলিপবাবু মঙ্গলবার জয়দেব মেলায় মকর সংক্রান্তির স্নান করতে যাওয়ার পথে সোমবার রাতে স্থানীয় বিজেপি কর্মী জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করবেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, কাঁকসার বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষ খুনের মূল অভিযোগকারী হলেন এই জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্দীপ ঘোষ খুনের সময় সন্দীপের বাইকেই জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন। তিনিও সেদিন আহত হয়েছিউলেন। সন্দীপ ঘোষের খুনের মূল অভিযুক্ত শেখ সাইফুল এখনও অধরা। জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সুস্থ হয়ে উঠলেও শাসক দলের কর্মীদের হুমকিতে এলাকার বিজেপি কর্মীরা যাতে ভয় না পায় সেইজন্যই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কুলডিহাতে রাত্রি যাপন বলে জানা গেছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘দলীয় কর্মীদের পাশে থাকা আমার কর্তব্য। আমি জয়দেব মেলায় যাওয়ার পথে দলীয় কর্মীর বাড়িতে থাকছি। যেটা আমি অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার পথেও করে থাকি। দলীয় কর্মীদের বাড়ি বা গেস্ট হাউসে রাত্রি যাপন করি। এক্ষেত্রেও তাই করছি। এদিকে তাঁর বাড়িতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাত্রি যাপন করছেন এই বিষয়ে বলতে গিয়ে বিজেপি কর্মী জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।