করোনার জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী এক মাস কোন কারণেই কোন কেবল অপারেটর গ্রাহকের সংযোগ কাটতে পারবে না। এমনকি মাসিক বিল বাবদ যদি টাকা বকেয়া থাকে কোন গ্রাহকের, তাহলেও কেবল সংযোগ কাটা যাবে না। এই মর্মে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার গত ২৪ মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫ অনুসারে দেশে সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন সহ বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করে। আর সেই নির্দেশ মোতাবেক রাজ্য সরকার সমস্ত কেবল অপারেটরকে আগামী এক মাস যে কোন কারণে গ্রাহকের লাইন কাটা নিষিদ্ধ করেছে। কারণ লকডাউনের সময় সরকারের যাবতীয় বার্তা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল এই কেবল টিভি।
করোনা মোকাবিলায় চলছে লকডাউন। গৃহবন্দি মানুষদের দেশের সামগ্রিক ঘটনার বিভিন্ন সংবাদ, সরকারি নির্দেশ জানার ও বিনোদনের একমাত্র মাধ্যমে এখন বিভিন্ন টিভি চ্যানেল। বাড়িতে বসে গৃহবন্দি মানুষ বিশ্ব দেখেছেন এই কেবল টিভির মাধ্যমে। সরকারি চ্যানেল দূরদর্শনও গৃহবন্দি মানুষের মনোরঞ্জনের জন্য রামায়ণ, মহাভারতের মতো পুরানো জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলিও দর্শকদের সামনে ফের এনেছে।
৩১ মার্চ রাজ্য সরকার এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়র দিয়েছে কোন কেবল টিভির গ্রাহক যদি কেবল কানেকশনের মাসিক টাকা জমা করতে না পারেন তবে আগামী একমাস কেবল অপারেটর ওই গ্রাহকের কেবল টিভি কানেকশন ছিন্ন করতে পারবেন না। লকডাউনের পর সেই টাকা পরিশোধ করবে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক।যদিও অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এই নোটিশকে অমান্য করেই অনেক গ্রাহক মাসিক টাকা দিতে না পারায় কেবল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে কেবক অপারেটররা। দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায়ও এই ধরণের বেশ কিছু ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এই বিষয়ে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলেকে প্রশ্ন করলে মহকুমাশাসক বলেন, ‘এটা রাজ্য সরকারের অর্ডার। সংশ্লিষ্ট কেবল অপারেটরদের সরকারের নির্দেশ মানতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কাস্টমার যদি কেবল অপারেটারের নামে অভিযোগ দায়ের করেন তাহলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে অভিযুক্ত কেবল অপারেটরের বিরুদ্ধে।’