রবিবার ১৬০ তম রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করতে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত নায়িকা শুভশ্রী গাঙ্গুলীর বাবা দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলী এবং মা বীণা গাঙ্গুলিরা। এদিন তাঁদের নিজস্ব উদ্যোগে এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও কর্মীদের নিয়ে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায় শুভশ্রীর বাপের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পালন করা হয় রবীন্দ্রজয়ন্তী। আর মণ্ডপে রবী ঠাকুরের সঙ্গে একই পঙক্তিতে পুজো পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গাঙ্গুলী পরিবারের জামাই চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ চক্রবর্তী।
কবিগুরুর জন্মদিবসে ঘটা করে রবীন্দ্রনাথের ছবির দুই পাশে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিচালক তথা নবনির্বাচিত বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীও পুজো পেলেন। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কেন পুজো পেলেন তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি উদ্যোক্তা দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলী। করোনা বিধি মেনে পাড়ারই অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে রাজ চক্রবর্তীর বিধায়ক হওয়া এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আনন্দ উদযাপন করা হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। দেবপ্রসাদবাবু জানিয়েছেন, ব্যারাকপুরের মত জায়গা থেকে তাঁর জামাই রাজ চক্রবর্তী বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত। আর তাই এদিন তাঁর এবং মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রেখে সেই আনন্দ তাঁরা উপভোগ করেছেন।
অন্যদিকে, এদিন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে সরকারী পর্যায়ে জেলার মুখ্য অনুষ্ঠানটি হয় জেলাশাসকের কনফারেন্স রুমে। এখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অনির্বাণ কোলে, অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) মুফতি সামিম শওকত, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কুশল চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। এরই পাশাপাশি এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে, এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও গোটা জেলা জুড়ে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়।