মঙ্গলবার ফরিদপুর থানার বালিজুড়ি গ্রামে এক মদ্যপের অগ্নিসংযোগে কান্না বাগদি নামে এক মহিলার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কান্নাদেবী ও তাঁর ছেলে প্রাণে বাঁচলেও সর্বশান্ত হয়ে যান। বেঁচে থাকার সবকিছু রসদ পুড়ে যাওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে কান্না বাগদির।
দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ফরিদপুর থানার পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মীরা সর্বহারা কান্না বাগদির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন মঙ্গলবারই। বুধবার সকালে ফরিদপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ওয়েল ফেয়ার গ্রুপের সদস্যরা আপদকালীন ভিত্তিতে চাল, ডাল, আলু, তেল, মুড়ি, চিড়ে, গুড়, মসলা সোয়াবিন, বিস্কুট, আমূল দুধ সহ স্বাচ্ছন্দ্যে বেঁচে থাকার যাবতীয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কান্নাদেবীর হাতে তুলে দেন। আকস্মিক দুর্ঘটনায় কান্না বাগদি মাথার উপর ছাদ হারালেও গোটা ফরিদপুর থানা ও সিভিক ভলান্টিয়াররা সর্বহারা কান্নাদেবীর পাশে দাঁড়ানোয় কান্নাদেবীর চোখের জল আটকে মুখে হাসি ফুটেছে।
জানা গেছে, ফরিদপুর থানার ১০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মী তাঁদের উপার্জিত অর্থের একটি অংশ সিভিক ভলান্টিয়ার ওয়েলফেয়ার গ্রুপ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করে স্থানীয় দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ান। মঙ্গলবার চোখের সামনে বালিজুড়ি গ্রামে মদ্যপের তান্ডবে কান্নাদেবীর সংসার ধুলিসাৎ হয়ে যাওয়ায় ফরিদপুর থানার পাশাপাশি ফরিদপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ওয়েলফেয়ার গ্রুপও কান্নাদেবীর পাশে দাঁড়ায়। সিভিক ভলন্টিয়ার ওয়েলফেয়ার গ্রুপের এক সদস্য দেবাশীষ মন্ডল বলেন, আমরা দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করেছি। সর্বহারা কান্নাদেবীর পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মানবিক মুখে বালিজুড়ি গ্রামের মানুষ খুশি।