অভিনব উপায়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও প্রায় ২৯,১৭২ টাকা। বর্ধমান শহরের মিরছোবা এলাকার বাসিন্দা ধীরাজ মহাপাল জানিয়েছেন, মিরছোবা এলাকায় তিনি একটি স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র চালান। স্টেট ব্যাঙ্কের বর্ধমান সদরঘাট শাখার হয়েই তিনি সমগ্র কাজটি করেন। ওই শাখাতেই তার নিজস্ব একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা দশটায় মেল খুলে তিনি জানতে পারেন তার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এয়ার ক্যান নামে একটি সংস্থায় ২৯ হাজার ১৭২ টাকার কেনাকাটা হয়েছে। কেনাকাটা হয়েছে ওই দিন ভোর তিনটে আট মিনিটে। তাঁর দাবি তিনি সে সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। এরপর তিনি বর্ধমানে স্টেট ব্যাঙ্কের রিজিওনাল অফিসে গিয়ে চ্যানেল ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। চ্যানেল ম্যানেজার মুম্বইয়ের বেলাপুরে এসবিআইয়ের সার্ভার কন্ট্রোল বিভাগে মেল করেন।

ধীরাজবাবু জানান, গ্রাহক সেবা কেন্দ্র চালানোর কারণে তিনি সাধারণ গ্রাহকদের সব সময় প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচাতে সতর্ক করেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন, পিন বা ওটিপি ছাড়া অনলাইন ট্র্যানজাকশন সম্ভব নয়। কিন্তু তার ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে বলে মনে করছেন তিনি। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গেছে, যে কোনও ট্র্যানজাকশনে টার্মিনাল আইডি এবং টার্ম ব্যাঙ্কের নাম শো করে থাকে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে দুটোই দেখাচ্ছে না। এই তথ্য ব্যাঙ্কের রিজিওনাল শাখা বেলাপুরকে জানানো হয়েছে। ওটিপি কোড ব্যবহার করলে ট্র্যানজাকশনে অ্যাপ্রুভ কোড দেখা যায়। পিন কোডের ক্ষেত্রে তা নট শো দেখায়। এক্ষেত্রে তাই দেখাচ্ছে। এদিন ব্যাঙ্কের টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে পিন নম্বর জেনারেট করে পারচেজ করেছে হ্যাকাররা। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে কার্ডের ক্লোন তৈরি করেও এই প্রতারণা হতে পারে। ধীরাজবাবু জানিয়েছেন, এটিএম কার্ডের সিকিউরিটি সিস্টেম যে যথেষ্ট নয় এই ঘটনাই তার প্রমাণ। আর তা ঘটে থাকলে ব্যাঙ্ক ডিজিটালাইজেশনও বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

Like Us On Facebook