ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতের নির্দেশে সিবিআই গোটা রাজ্য জুড়েই তদন্তভার হাতে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। এরই অঙ্গ হিসাবে বুধবার বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগরে বিজেপি নেতা নারায়ণ দে-কে খুনের ঘটনায় তদন্তে এলেন সিবিআইয়ের ১ মহিলা সহ ৪ অফিসার। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বর্ধমানের সিজেএম আদালতে খুনের মামলা রুজু করার বিষয়টি জানান। এরপরই বর্ধমান থানার এই খুনের ঘটনার তদন্তকারী অফিসার দীপ্তেশ চট্টোপাধ্যায় আদালতে রিপোর্ট পেশ করে মামলার নথিপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন। ইতিমধ্যে এই খুনের ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েই অভিযোগকারীর বয়ান লিপিবদ্ধ করে সিবিআই। সোমবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে খুনের মামলা রুজু করা হয়।

বুধবার সকালে সিবিআইয়ের অফিসাররা প্রথমে বর্ধমান থানায় আসেন। এরপর বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই অফিসাররা কাঞ্চননগরে নারায়ণ দে-র বাড়িতে যান। কিন্তু আগাম জানানো সত্ত্বেও বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এরপর আইসি থানার গাড়ি পাঠিয়ে কাঞ্চননগরের বেলপুকুর এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে প্রয়াত নারায়ণ দে-র স্ত্রী পূর্ণিমা দে-কে নিয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই অফিসাররা।

পূর্ণিমাদেবী সিবিআই অফিসারদের জানান, গত ১৮ এপ্রিল কাঞ্চননগরে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সময় পেশায় টোটো চালক এবং বিজেপি সমর্থক নারায়ণ দে টোটো নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁকে দেখতে পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। গুরুতর জখম হন তিনি। এই ঘটনার সময় পুলিশ সেখানে হাজির থাকলেও পুলিশ জখম নারায়ণ দে সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। জখম নারায়ণ দে গ্রেফতার হওয়ার ৩দিন পর জামিন পান। এরপর প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে বর্ধমান শহরের খোসবাগান এলাকায় এবং বোরহাটের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করান। ৬ মে তিনি মারা যান। এই ঘটনার পর পূর্ণিমাদেবী থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে তিনি সিবিআই অফিসারদের জানিয়েছেন। এরপর আদালতের মাধ্যমে তিনি খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ায় তৃণমূল শিবিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। যদিও এদিন মৃত নারায়ণ দে-র স্ত্রী পূর্ণিমা দে এই ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের কিছু বলতে চাননি।

Like Us On Facebook