শুক্রবার রাতে বর্ধমানের মন্তেশ্বরে এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু ও ৬ জন আহত হন। দ্রুত গতি সম্পন্ন একটি চারচাকা গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষি শ্রমিকদের ধাক্কা মারলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মন্তেশ্বরের জয়রামপুর ক্যানেল পুল এলাকায়। চারচাকা গাড়ির জখম আরোহী মহম্মদ সাহিদ জানায়, মন্তেশ্বরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক চৌধুরী মহম্মদ হেদায়তুল্লার ছেলে চৌধুরী মহম্মদ হামিদুল্লা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে কুসুমগ্রাম বাজারে তাদের গাড়িটি একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। বাজারের লোকজন ধাওয়া করলে মহম্মদ হামিদুল্লা গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয়। তারপর মন্তেশ্বরের জয়রামপুর ক্যানেল পুলে পরপর আট জনকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনাস্থলেই দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ৬ কৃষি শ্রমিককে রাতেই ভর্তি করা হয়। সকালে দুজনের মৃত্যু হয়।
বর্ধমান হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান মন্তেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক সৈকত পাঁজা। সৈকত পাঁজার অভিযোগ, বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য চারটি প্রাণ চলে গেল। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে। নতুন হাত আবার দ্রুত বেগে গাড়ি চালানোর জন্যই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটলো। মৃত ও আহত সকলেরই বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। তারা কৃষি শ্রমিকের কাজ করতে বর্ধমানে এসেছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মহম্মদ সাহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাহিদকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মন্তেশ্বর থানায়। খোঁজ চলছে অপর অভিযুক্ত তথা প্রাক্তন বিধায়ক পুত্র হামিদুল্লার। এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুন ও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।