ছাত্রছাত্রী, যুব সমাজই জাতির অগ্রগতির সূচক। তাদের অর্জিত শিক্ষা জাতি তথা দেশকে গৌরবান্বিত করবে এই আশা রাখি। শিক্ষা একটি জীবন পরিবর্তনের সূচক। সাধারণ মানুষ কীভাবে জীবনের সমস্যা সমাধান করেন তা থেকেও শিক্ষা নিতে হবে। শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ তম সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই মন্তব্য করে গেলেন।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ তম সমাবর্তনে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে সাম্মানিক ডি-লিট অর্পণ করা হয়। ডি-এসসি দেওয়া হয় বিজ্ঞানী শুভাশিস চৌধুরী ও অধ্যাপক সুমন কুমার ধরকে। এদিন রাজ্যপাল বলেন, ‘জীবন এবং প্রকৃতিই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। মানুষের জীবনে শিক্ষা শুধুমাত্র উদারতা দেয় না, জ্ঞান বাড়ায় না। শিক্ষা জীবনের পরিবর্তনের সূচক। প্রথাগত বা পাঠ্য বইয়ের শিক্ষার বাইরে একটা বড় শিক্ষার জগৎ আছে। সেই শিক্ষার জগত থেকে মানুষকে রোজ শিক্ষা নিতে হবে। এইভাবে শিক্ষাই মানুষকে প্রকৃত শিক্ষিত করে তোলে।’
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল এদিন সাহিত্য, বিজ্ঞান সহ কয়েকটি বিষয়ে কয়েকজন স্বর্ণপদক প্রাপকের হাতে উপাধি তুলে দেন। এদিন মোট ৪৮৭জনের হাতে পিএইচডি উপাধি তুলে দেওয়া হয়। অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য নিমাইচন্দ্র সাহা, সহ উপাচার্য্য আশিষ পাণিগ্রাহী, রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী প্রমুখ।