২ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধনের পরই বহু প্রতিক্ষীত বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের টার্শিয়ারি ক্যানসার বিভাগ চালু হতে চলেছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সুপার কৌস্তভ নায়েক জানিয়েছেন, আপাতত টার্শিয়ারি ক্যানসার বিভাগের আউটডোর চালু হবে জুন মাসের মধ্য ধীরে ধীরে চালু করা হবে অনান্য সমস্ত পরিষেবা।
বর্ধমান হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার বিভাগ রয়েছে। ৪০ শয্যার ওই বিভাগে বহির্বিভাগের মাধ্যমে রোগী ভর্তি হয়। প্রতিদিন ১৫০ জনের মতো রোগী চিকিৎসার জন্যে ক্যানসার বিভাগে যান। কেমোথেরাপি, ব্রাকিথেরাপি যন্ত্রের মাধ্যমে ক্যানসার চিকিৎসা করা হয়। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ সালে বর্ধমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে টার্শিয়ারি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। রাজ্যের মধ্যে কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজও টার্শিয়ারি ক্যানসার হাসপাতাল গড়ার অনুমোদন পেয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি জায়গা নির্বাচন করে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বা ডিপিআর জমা দেয়। কিন্তু সরকারের প্রতিনিধিদের জায়গা পছন্দ হয়নি বলে প্রকল্প বাতিল হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ বাবুরবাগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে থাকা ফাঁকা জায়গা চেয়ে চিঠি দেয়। তৎকালীন উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজকিউটিভ কমিটিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই জায়গা মেডিক্যাল কলেজকে দেয়। ওই জায়গাতেই মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে পাঁচতলার ক্যানসার হাসপাতাল। যার মধ্যে দু’টি তলা থাকছে মাটির নীচে। সেখানেই ক্যানসার চিকিৎসার আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকবে, তৈরি হবে অত্যাধুনিক ল্যাব। দু’শো শয্যার এই হাসপাতালের ভবন তৈরি শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের শেষ দিকে। ভবন তৈরির জন্যে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। এ ছাড়াও প্রায় ২৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হবে।
মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘ক্যানসারের সর্বোচ্চ চিকিৎসা বর্ধমানে বসেই মিলবে। এখান থেকে অন্য কোথাও রোগীকে ‘রেফার’ করা যাবে না। শুধু দুই বর্ধমান নয়, দক্ষিণবঙ্গ-উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে ভিন রাজ্যের রোগীরাও উপকৃত হবেন এই বিভাগ সম্পূর্ণরুপে চালু হলে।’