শুরু হল রাজ্যের সরকারী ও বেসরকারী-সহ রাজ্যের মোট ১২টি হোমিওপ্যাথি কলেজ থেকে বিনামূল্যে সাধারণ মানুষকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শারীরিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির জন্য ওষুধ প্রদানের কাজ। ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকে বর্ধমান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও চালু হল ওই ওষুধ দেওয়ার কাজ। এই কলেজের অধ্যক্ষ অসীম সামন্ত জানিয়েছে্ন, প্রাথমিকভাবে তাঁদের লক্ষ্য গোটা জেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে এই ডোজ দেওয়া। তিনি জানিয়েছেন, কারা কারা খেতে পারবেন বা পারবেন না ইতিমধ্যেই সে ব্যাপারে তাঁরা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ওষুধ করোনা ভাইরাসের ওষুধ নয়। এই ওষুধ সাধারণ মানুষের নিজস্ব যে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে তাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এরফলে করোনার মত রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

উল্লেখ্য, করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ সিএইচ (Arsenicum Album 30CH)’ – এই ওষুধ নিয়ে ইতিমধ্যেই কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। বাজারে এই ওষুধের দাম বেড়ে গেছে বলে অভিযোগও উঠেছে। অসীমবাবু জানিয়েছেন, সেইজন্যই তাঁরা সকলকে বলছেন হোমিওপ্যাথিক কলেজে এসে বিনামূল্যে এই ওষুধ নিয়ে যান। উল্লেখ্য, অসীমবাবু জানিয়েছেন, বর্ধমানের এই হোমিওপ্যাথিক কলেজে গড়ে প্রতিদিনই প্রায় ২৫০ রোগীর চিকিৎসা হয়। সরকারী অনুদান প্রাপ্ত এই কলেজ প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭৮ সালে। চলতি করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি জানিয়েছেন, ৫০ হাজার মানুষকে দেওয়ার মত ওষুধ তাঁরা ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছেন। প্রথম দফায় পরপর ৩ দিন এই ওষুধ খাওয়ার একমাস পর আবার এই ডোজ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন অসীমবাবু।

Like Us On Facebook