সোমবার সন্ধ্যায় জামালপুরের শম্ভুপুর এলাকায় বাঁশের সেতু থেকে পড়ে দামোদরে তলিয়ে যাওয়া রেহেনা বেগমের (৫৩) দেহ উদ্ধার হল। বুধবার সকালে মেমারির পাল্লারোডে দামোদরের জলে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় রেহেনা বেগমের ছেলে কিসমত সেখকে। তিনি এসে দেহটি সনাক্ত করেন। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমানে হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ মাকে ডাক্তার দেখিয়ে মোটর বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন ছেলে কিসমত সেখ, বাইকের পিছনে ছিলেন মা রেহেনা বেগম। গ্রামের কাছে একটি বাঁশের সেতু পার হওয়ার সময় বাঁশের সেতুতে আটকে যায় মোটরবাইকের চাকা। মোটর বাইক থেকে দামোদরের জলে ছিটকে পড়েন রেহেনা বেগম। মাকে বাঁচাতে মোটরবাইক ছেড়ে ছেলে কিসমত সেখও ঝাঁপিয়ে পড়েন জলে। কিন্তু তিনি হদিশ পাননি মায়ের। এরপর কিসমত গ্রামে গিয়ে খবর দিলে গ্রামের মানুষ জন ছুটে আসেন। প্রায় হাজার খানেক গ্রামের মানুষ রাতভর জলে নেমে খোঁজাখুঁজি করেও হদিশ মেলেনি রেহেনা বেগমের। মঙ্গলবার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ডুবুরিরাও তাঁকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন।