রাতভর তল্লাশির পর উদ্ধার হল দামোদরে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রে দেহ। স্কুলে যাওয়ার নাম করে সোমবার দামোদরের বালিঘাটে গিয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির পাঁচ ছাত্র। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পাল্লার সাড়ে পাঁচ নম্বর ঘাটে দামোদরের জলে স্নান করতে নামে চার ছাত্র। এক ছাত্র স্নান করতে না নেমে পাড়ে দাঁড়িয়েছিল। কেউই ভাল সাঁতার জানত না। দামোদরের নদী গর্ভে কোথাও হাঁটু জল আবার কোথাও ২৫-৩০ ফুট গভীর জল। একটু গভীর জলে নামতেই জলে নামা চার ছাত্র ডুবতে থাকে। তখন পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রটি নৌকার দড়ি ছুড়ে দেয়। তাতে ৩ জন পাড়ে উঠতে সক্ষম হলেও সুদীপ্ত রায় (১৭) তলিয়ে যায়। তার বাড়ি মেমারি থানার করন্দা গ্রামে। বাকি বন্ধুদের বাড়ি পালসিট গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ৫ বন্ধু রসুলপুর বিএম হাইস্কুলের ছাত্র। সোমবার তারা মেমারি থানার পাল্লার সাড়ে পাঁচ নম্বর দামোদরের ঘাটে যায়। সেখানে চার বন্ধু স্নান করতে নেমে তলিয়ে যেতে থাকে। পরে তিন বন্ধু উঠে এলেও একজন দামোদরের জলে তলিয়ে যায়। ঘটনার পরই মেমারি থানার পুলিশ ও মেমারি ১ নম্বর ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম ডুবুরি নিয়ে তল্লাশি শুরু করে। রাতভর তল্লাশির পর সোমবার মধ্যরাতে মেলে তলিয়ে যাওয়া সুদীপ্তর দেহ। দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনেরা। করন্দা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।


Like Us On Facebook