বর্ধমানের গলসি থানার বড়দিঘীর শশঙ্গা গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে গলার নলি কাটা এক গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে গোটা এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হল। গ্রামবাসী এবং মৃতের পরিবারের প্রাথমিক অনুমান ওই গৃহবধুকে ধর্ষণ করে গলা কেটে খুন করা হয়েছে । মৃত মহিলার নাম স্বপ্না মূর্মু (২৩)। শুক্রবার রাতে শশঙ্গা গ্রামের রায়দিঘি সংলগ্ন একটা ধান ক্ষেতের পাশে তার নগ্ন গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে গলসি থানার পুলিশ। মৃত গৃহবধুর মা লক্ষ্মী মাঝি অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। তার হাত দুটি কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। যদিও ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না এ বিষয়ে পুলিশ মুখ খুলতে চায়নি। গলসি থানার পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় পুলিশ মৃতের স্বামী পেশায় দিনমজুর সোম মূর্মুকে আটক করেছে।
লক্ষ্মী মাঝি জানিয়েছেন, স্বপ্না মূর্মু শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মাঠে যান ঘাস কাটতে। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ তার স্বামী সোম মূর্মু বাড়ি ফিরে এসে দেখে স্বপ্না বাড়িতে নেই। এরপরে পরিবারের তরফে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। স্থানীয় এক মহিলা জানায় তাকে মাঠে একটা গাছের তলায় একা দেখা গিয়েছিল। তারপর আর দেখা যায়নি। রাত্রি প্রায় আটটা নাগাদ গ্রামবাসীরাই খোঁজ করতে গিয়ে মাঠের মধ্যে ঘাস চাপা মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ দেখতে পান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যেভাবে তাকে খুন করা হয়েছে তাতে একাধিক ব্যাক্তি এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।