বর্ধমান স্টেশন সংলগ্ন পুরানো রেল ওভারব্রিজ ভেঙে ফেলার নোটিশকে ঘিরে এবার ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ল রেলদফতর। বৃহস্পতিবার থেকেই তৃণমূল, এসইউসিআই সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এমনকি সাধারণ মানুষ বিকল্প পথের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এই ব্রিজ ভাঙার বিরুদ্ধে জোড়ালোভাবেই পথে নেমেছে। কোনভাবেই বিকল্প পথ তৈরি না করে পুরানো রেলব্রিজ ভাঙা চলবে না বলে দাবিও তোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গোটা বর্ধমান শহর জুড়ে যখন সাধারণ মানুষ পুরানো রেল ব্রিজ ভাঙার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন সেই সময় পিছিয়ে থাকতে পারল না খোদ বিজেপিও।

শুক্রবারই বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর নেতৃত্বে বিজেপির সমর্থকরা বর্ধমান স্টেশনের নির্বাহ বাস্তুকারের কাছে ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপিও দিলেন। বিকল্প পথের ব্যবস্থা না করে পুরানো রেল সেতু ভাঙা যাবে না বলে তাঁরাও এদিন দাবি জানালেন পূর্ব রেলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের কাছ। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অধীনে থাকা রেল মন্ত্রক এবং সেই বিজেপি দলের পক্ষ থেকেই এদিন পুরানো রেল ব্রিজ ভাঙার নোটিশকে কার্যত প্রত্যাহার করার দাবি জানানোয় এলাকাবাসীর মধ্যে এনিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এদিন সন্দীপ নন্দী অস্বস্তি এড়াতে জানিয়েছেন, পুরনো এই রেল সেতুর অবস্থা অত্যন্ত বিপদজনক – এটা তাঁরাও মানছেন। আর সেইজন্যই নতুন সেতু তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু নতুন সেতুর উচ্চতা এবং তার পরিকাঠামো ও দূরত্ব এতটাই বেশি যে হেঁটে চলাচল করার অনুপযোগী। পাশাপাশি তিনি এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, নতুন সেতু উদ্বোধন করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় রেলপ্রতিমন্ত্রীর। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি ওই সেতুর উদ্বোধন করান। তখন যুক্তি দেওয়া হয়েছিল এই সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকারেরও অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। সন্দীপবাবু জানিয়েছেন, ফলে সেই যুক্তি রাজ্য সরকার পুরানো ব্রিজের ক্ষেত্রে কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন। পুরানো রেল সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডও তো রাজ্য সরকারের অধীনেই রয়েছে। অথচ রেল সেতু ভাঙার দায় চাপানো হচ্ছে কেন্দ্রের রেল দফতরের উপর। তিনি জানিয়েছেন, পুরানো রেল সেতুর বিকল্প সেতু নির্মাণের পক্ষে তাঁরা। যা সাধারণ মানুষের প্রয়োজন। এই সেতু নিয়ে তাঁরা সংকীর্ণ রাজনীতি করতে চান না। আর তাই এদিন বিকল্প পথের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত পুরানো সেতু ভাঙার নোটিশ রদ করার আবেদন জানিয়েছেন ডিআরএম সহ রেল মন্ত্রকের কাছে।

 

Like Us On Facebook