শনিবার শুরু হল বর্ধমান পৌর উৎসব-২০২১। এদিন বর্ধমান শহরের শাঁখারীপুকুর উৎসব ময়দানে এই পৌর উৎসবের সূচনা করেন প্রবীণ অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেতা, নাট্যকার দেবশংকর হালদার। এবারে বর্ধমান পৌর উৎসবের থিম করা হয়েছে – জন্ম-কম্ম বর্ধমানে, ঠাঁই পেয়েছে সবার মনে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন দেবশংকর হালদার বলেন, একটা উৎসবকে ঘিরে এই ধরণের একটি থিমের পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা অনুসারে উৎসব কমিটি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা রীতিমত প্রশংসার দাবী রাখে।

উল্লেখ্য, এবছর এই উৎসব কমিটি গোটা বর্ধমান জেলা জুড়ে সেই সমস্ত বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, মনীষীদের ইতিহাসকে একত্রিত করেছে যাঁরা বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করে গোটা দেশ জুড়ে খ্যাতিলাভ করেছেন- গৌরবান্বিত করেছেন বর্ধমানকে। প্রায় ২১ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পৌর উৎসব। এবছর উৎসব কমিটি রীতিমত গবেষণালব্ধ একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করেছেন – যেখানে এই সমস্ত ব্যক্তিত্বদের ইতিহাস রাখা হয়েছে – যা আগামী প্রজন্মের কাছে একটি দলিল হিসাবেই পরিচিত হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর এই পৌর উৎসবের উদ্বোধনে জেলাপ্রশাসনের আধিকারিকরা হাজির থাকলেও এবারেই প্রথম হাজির ছিলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, সদর মহকুমা শাসক প্রমুখরা। এমনকি প্রতিবছরই মঞ্চ আলো করে থাকতেন বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলররাও। কিন্তু এবারেই রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে অনেক কাউন্সিলরই মঞ্চে হাজির না থাকায় গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। এদিন এই উৎসব মঞ্চ থেকেই উদ্বোধন করা হয়েছে উৎসব কমিটির আয়ের দ্বারা প্রস্তাবিত মোহর কুঞ্জ নামে একটি কমিউনিটি হলেরও। বর্ধমান পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিত গুহ জানিয়েছেন, এই কমিউনিটি হলে থাকবে একটি নাট্যমঞ্চও। উল্লেখ্য, বর্ধমান শহরে এই নাট্য মঞ্চের অভাবের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। অমিতবাবু জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের সেই অভাব পূরণ হবে এই কমিউনিটি হলের মাধ্যমে। আগামী ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।

Like Us On Facebook