আর্থিক অনটনে পাশে কাউকে না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন একই পরিবারের তিনজন। এদের মধ্যে দুজন মারা যায় ও অপর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনাটি ঘটেছে কুলটির কলেজ মোড় এলাকায়। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকালে প্রতিবেশিরা সকাল ৮টা পর্যন্ত আলো ঠাকুরের বাড়ির দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান এবং বাড়ির ভিতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে কুলটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং বাড়ির দরজা ভেঙ্গে মা আলো ঠাকুর(৬৫) ও মেয়ে গীতাঞ্জলি(৩০)কে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এছাড়া আলো ঠাকুরের ছেলে ময়ুরেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পায় এবং সুইসাইড নোটে আর্থিক অনটনের কথা উল্লেখ রয়েছে।
পুলিশ মৃতদেহ গুলিকে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এটি আত্মহত্যা না অন্য কোন কারণে মৃত্যু পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।