ফের খবরের শিরোনামে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি কলেজ। কলেজের অধ্যাপককে মারধরের অভিযোগ কলেজেরই এক অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত অশিক্ষক কর্মীর নাম মুকেশ শর্মা। আক্রান্ত বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কুস্তুর আমেদ মোল্লা গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন বর্ধমান দক্ষিণ মহকুমা শাসকের কাছে।

বুধবার কলেজের অফিস রুমে অভিযুক্ত মুকেশ শর্মার সঙ্গে চেয়ারে বসার সময় হাল্কা ধাক্কা লাগে কস্তুর আমেদ মোল্লার। অভিযোগ কিছুক্ষণ পর কলেজের সিঁড়ির কাছে অধ্যাপককে একা পেয়ে প্রথমে মুকেশ শর্মা হেনস্থা করে। বাধা দিলে অধ্যাপককে মারধর করে মুকেশ শর্মা। উল্লেখ্য, মাস দেড়েক আগে কলেজের অধ্যক্ষ সহ অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের কলেজে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে মুকেশ শর্মার বিরুদ্ধে। তার নেতৃত্বেই অধ্যাপকদের হেনস্তাও করা হয় কলেজ ক্যাম্পাসে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে গোটা বিষয়টি জানান কলেজের অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য শিক্ষকরা। মেমারি থানায় মুকেশ শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বর্তমানে অভিযুক্ত মুকেশ জামিনে মুক্ত। এই বেপরোয়া অশিক্ষক কর্মী মেমারি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে কেন তার বিরুদ্ধে বারে বারে অভিযোগ উঠছে। কেনই বা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দল বা প্রশাসন কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যদিও অভিযুক্ত মুকেশ শর্মার সাফাই তাকে মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে। টেলিফোনে মুকেশের প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কর্মী বলেই তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে।

Like Us On Facebook