দুবছর আগে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখি থানার বীরপুর গ্রামের মানিক ভট্টাচার্যের ছোটো মেয়ে বৈশাখির বিয়ে হয় বার্ণপুর রিভারসাইড নিবাসি দয়াময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে৷ দয়াময়বাবু রামপুরহাট ডিভিসনে জিআরপিতে কর্মরত৷ মৃতার মা কবিতা ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘বিয়ের সময়ে নগদ চার লক্ষ টাকা, দশ ভরি সোনার গয়না ও আসাবাব পত্র যৌতুক হিসাবে দেওয়া হলেও আরও পণের দাবিতে বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর অত্যাচার চলতে থাকে৷ এই অত্যাচার বাড়তে থাকে কন্যা সন্তান জন্মানোর পর৷ বিগত দশদিন ধরে এই অত্যাচার বেড়ে গেলে বৈশাখি বাড়িতে ফোন করে তাকে মেরে ফেলা হবে এই আশঙ্কাও প্রকাশ করে।’ মঙ্গলবার বিকেলে মেয়ের বাড়ি বাঁকুড়াতে জামাই দয়াময় ফোন করে জানায় বৈশাখি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ এরপর মেয়ের বাড়ির লোকজন এসে হীরাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে মেয়ের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে হীরাপুর থানায়৷ শেষপর্যন্ত অভিযোগ নথিবদ্ধ হলে দয়াময় ও তার মা এবং মাসী ফেরার হয়ে যায়৷
Like Us On Facebook