বর্ধমান পুরসভার পুরপিতার বাড়ির ১০ মিটারের মধ্যে অপর এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুরসভার প্ল্যান ছাড়াই বাড়ি তৈরির অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গেল বর্ধমান শহরে। যদিও গোটা বিষয় নিয়ে পুরপিতা পরেশ চন্দ্র সরকার কিংবা অভিযোগের তীর যে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খোলেননি।
বর্ধমান কোর্ট চত্বরে বর্ধমান পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দ্রা দাস পৌরসভার চেয়ারম্যানের বাড়ির ১০ মিটারের মধ্যে বিনা প্ল্যানে বাড়ি করছেন এই অভিযোগ তুলে লাল কালিতে লেখা পোস্টার দেখতে পাওয়া যায় শনিবার সকালে। এব্যাপারে ১০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দ্রা দাস মুখ না খুললেও তাঁর স্বামী স্বপন দাস জানিয়েছেন, কাউন্সিলরের নিজের বাড়ি নয়, ওটা কাউন্সিলর সহায়তা কেন্দ্র করা হচ্ছে। বেআইনী নির্মাণের অভিযোগ মিথ্যা। প্ল্যান আছে, কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়ায় পুনর্নবীকরণ করতে দেওয়া আছে। বদনাম ও প্রতিহিংসার কারণে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
যদিও এবিষয়ে বর্ধমান পুরসভার পৌরপতি পরেশ চন্দ্র সরকার কোন প্রতিক্রিয়া দিতে না চাইলেও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানিয়েছেন, অস্তিত্ব হারিয়ে বিজেপি রাতের অন্ধকারে এই পোস্টার সাঁটিয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে এবং তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করছে। পাল্টা বিজেপির বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানিয়েছেন, বিজেপি এই ধরণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তৃণমূলের একাংশ যারা কাউন্সিলারের বিরুদ্ধগোষ্ঠী তাঁরাই এই পোস্টার দিয়েছেন। তবে এই অভিযোগ নতুন নয় শহরজুড়েই বেআইনী ভাবে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে শাসকদলের মদতে।