দাবি মতো শেরওয়ানি কিনে দেওয়ার টাকা না পেয়ে দাদুকে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল নাতির বিরুদ্ধে। মৃতের নাম শশাঙ্কশেখর দত্ত (৭৩)। বর্ধমান থানার সরাইটিকর আমতলা এলাকার ঘটনা। অভিযুক্ত অনিরুদ্ধ দত্ত ও তাঁর বাবা ফাল্গুনী দত্তকে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরাইটিকর আমতলা এলাকায় শশাঙ্কশেখর দত্ত তাঁর ছেলে ফাল্গুনী দত্ত ও নাতি অনিরুদ্ধ দত্তকে নিয়ে একটি একতলা বাড়িতে থাকতেন। শশাঙ্কবাবু প্রাক্তন কোলিয়ারি কর্মী। প্রায়ই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে শশাঙ্কশেখর দত্তকে তাঁর ছেলে ফাল্গুনী দত্ত ও নাতি অনিরুদ্ধ দত্ত মারধর করত বলে অভিযোগ। বুধবার রাত ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ বাড়িতে চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে দেখেন শশাঙ্কশেখর দত্ত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীরা দরজা খুলতে বললেও না খোলায় দরজা ভেঙে তাঁরা ভিতরে ঢোকেন। এর পর তাঁরা বর্ধমান থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে শশাঙ্কশেখর দত্তকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শশাঙ্কশেখর দত্তের ছেলে ফাল্গুনী দত্ত ও নাতি অনিরুদ্ধ দত্তকে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দেওয়ালে মাথা ঠুকে মারা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নাতি দাদুকে মারার কথা স্বীকার করলেও, ছেলে এই খুনের সাথে যুক্ত আছেন কিনা তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করছে বর্ধমান থানার পুলিশ।