চলছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। প্রতিটি ক্যাম্পে উপচে পড়ছে ভিড়। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্যাম্প। প্রথম পর্যায়ে সরকারের ১১টি প্রকল্পেই প্রায় প্রতিটি কাউণ্টারেই ছিল ভিড়। সবথেকে রেকর্ড ভিড় হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী এবং রেশন কার্ড সংক্রান্ত কাউণ্টারগুলিতেও। কিন্তু তারই সঙ্গে কন্যাশ্রী, রুপশ্রী প্রকল্পের কাউণ্টারেও ছিল মানুষের ভিড়। কিন্তু সেই রুপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করে এখনও টাকা না পাওয়ার অভিযোগ গোটা জেলার শতাধিক আবেদনকারীর। ইতিমধ্যেই তাঁদের অনেকেরই বিয়েও হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও কেটে গেছে কয়েকমাস।

বর্ধমানের গলসি থানার উচ্চগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংপুর গ্রামের বাসিন্দা সানজিদা ইয়াসমিন। রূপশ্রী প্রকল্পে তিনি আবেদন করেছিলেন প্রায় ৯ মাস আগে। ইতিমধ্যে তাঁর বিয়ে হয়ে গেছে কাঁকসা গ্রামে। সানজিদা জানিয়েছেন, তিনি রূপশ্রী প্রকল্পে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিলেন। এরপর ২৩ এপ্রিল তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে যেখানে তাঁর আবেদন গ্রাহ্য করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এমনকি ২৩ মে ফের তাঁর মোবাইলে মেসেজ আসে তাঁর টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে। ইতিমধ্যে গত ১০ মার্চ তার বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু এখনও তাঁর টাকার কোনো হদিশ মেলেনি। বারবার ব্লক অফিসে গিয়ে কার্যত হয়রানির শিকার হয়ে চলেছেন তিনি।

সানজিদার বাবা শেখ মেহেবুব রহমান একজন প্রতিবন্ধী। চাষ করে কোনক্রমে চলে তাঁদের সংসার। এদিকে, বিয়ের ৯ মাস পরও সানজিদার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্টে টাকা না ঢোকায় রীতিমত চিন্তিত সানজিদার বাবা-মা। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনার জেরে তাঁদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ধার দেনা করেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এখনও রুপশ্রী প্রকল্পের টাকা কেন এল না তাঁরা তা বুঝতে পারছেন না। এদিকে, এব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী জানিয়েছেন, গোটা জেলা জুড়েই এইরকম প্রায় ২০৮ জনের সমস্যার কথা তাঁরা জেনেছেন। সমস্ত বিষয়টিই তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে দ্রুত সমাধানের জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য এই অসুবিধা হয়েছে। তাঁরা আশা করছেন খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা মিটে যাবে।

Like Us On Facebook