প্রসব যন্ত্রণার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স একটি বারের জন্যও না দেখায় প্রসব কালীন অবস্থায় শিশুর মুখ সাত ঘন্টা মাতৃজঠরে আটকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হল বলে অভিযোগ। প্রসূতির শারীরিক অবস্থায় অবনতি হলে তাঁকে বাঁচাতে তাঁর মাতৃজঠর বাদ দিতে হল। মহিলা এখনও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেন।
চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত সন্তান প্রসব করার অভিযোগের তদন্তে বুধবার পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করলেন কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস। অভিযোগকারী মৃত শিশুর বাবা আউশগ্রাম দু’নম্বর ব্লকের বাসিন্দা তারক বাদ্যকর। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক ডা. শ্রীকান্থ পল্লীর কাছে তাঁর স্ত্রীর সন্তান প্রসবের সময় প্রসব যন্ত্রণা উঠলে কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ২৯ জুলাই রাতে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক ও নার্স তাঁর স্ত্রীকে না দেখে ফেলে রাখেন বলে অভিযোগ তারকবাবুর। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তারকবাবু তাঁর স্ত্রীকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন এবং স্ত্রী মৃত সন্তানের জন্ম দেন।
তারক বাদ্যকর দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক ডা. শ্রীকান্থ পল্লীকে অভিযোগ করেন, ওই রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও এক নার্স যদি আমার স্ত্রীকে একটু দেখতেন তাহলে আমার স্ত্রীর গর্ভস্থ শিশুটি মারা যেত না। দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে তারকবাবু ওই রাতে পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। বুধবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমাশাসকের নির্দেশে কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে সরজমিনে তদন্ত শুরু করেন। কাঁকসার বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস তদন্তের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেন, আমি তদন্ত রিপোর্ট মহকুমাশাসককে খুব শীঘ্রই জমা করব। এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে সেই চিকিৎসককে সংবাদ মাধ্যম চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোন কিছু বলতে অস্বীকার করেন।