সরকারি হাসপাতালে ফের শিশু বদলের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রসূতির পরিবার। তারপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিলেন।
পূর্বস্থলীর মেড়তলার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সূত্রধর বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তিনি তাঁর স্ত্রী ঝুম্পা সূত্রধরকে সকাল ১০ টা নাগাদ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওইদিন রাত্রি সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি সন্তান প্রসব করেন। তিনি জানিয়েছেন, সিজার করে ঝুম্পাদেবী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর প্রসূতি বিভাগে থাকা কর্মরত নার্সরা ঝুম্পাদেবীকে তাঁর পুত্র সন্তান দেখিয়েও নিয়ে যান। কিন্তু আধঘন্টা পর ফের নার্সরা এসে জানান, পুত্র নয়, কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন তিনি। এরপর প্রথমে দেওয়া পুত্র সন্তানকে নিয়ে চলে যান তাঁরা। পরে ঝুম্পাদেবীকে একটি কন্যা সন্তান দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রসূতির পরিবার শিশু বদলের অভিযোগ তুলে বুধবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে মৌখিক অভিযোগ জানান। পরে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সুপারের কাছে শিশু বদলের লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিশ্বজিত সূত্রধর। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি ডিএনএ টেস্টও করাবেন। এই ঘটনায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা জানিয়েছেন, প্রসবের পর মায়ের সঙ্গে শিশুর একটা ডিস্ক নম্বর থাকে। সেই নম্বর না মিলিয়ে শিশু দেওয়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তাঁরা জেনেছেন। সেই সময় কর্তব্যরত নার্সদের গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তদন্তের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।