কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকের চাষের খরচ কমাতে সরকারি উদ্যোগে ভর্তুকিতে কৃষকদের হাতে বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে যেভাবে কৃষির ক্ষেত্রে বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার সেখানকার চাষীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে সেই একইভাবে দক্ষিণবঙ্গেও চাষীদের সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে ধান রোপণ যন্ত্র প্রদান করা হল রবিবার বর্ধমানের জেলা কৃষি খামারের মাটি তীর্থ কৃষি কথা প্রাঙ্গণে। হাজির ছিলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, কৃষি দফতরের যুগ্মসচিব হৃষিকেশ মুদি সহ জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রায় ১৫ জন চাষীর হাতে ভর্তুকির মাধ্যমে এই ধান রোপণ যন্ত্র প্রদান করা হয়। এখনই গোটা জেলায় বিভিন্ন ব্লকে মোট ১২০০ বিঘে জমিতে এই যন্ত্র ব্যবহার শুরু হয়েছে। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১০ সালের পর থেকে কৃষি ও কৃষকের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে কৃষকের বাৎসরকি আয় বেড়েছে ৩ গুণ। সদ্য শেষ হওয়া আমন চাষে সেচের জলের তীব্র সঙ্কটের পর চলতি সময়ে শুরু হয়েছে আলু চাষ। এই আলু চাষে সেচের জল পাওয়া যাবে কিনা সেই প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দামোদরের জলাধারে জল নেই। তবুও সেচ তথা কৃষি দফতরের সচিব পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনই জল পাওয়ার মত কোন সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।