কয়েকদিন আগে যার অন্নপ্রাশন হয়েছিল ঘটা করে। তাকেই আজ, বুধবার চোখের জলে দুর্গাপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে বিদায় জানাল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশুবিভাগের সিস্টার ও নার্সরা।
দিন সাতেক আগে বর্ধমান হাসপাতালের শিশুবিভাগ অন্নপ্রাশন উপলক্ষে সেজে উঠেছিল। সিস্টার ও নার্সরা সন্তানস্নেহে মুন্নির মুখেভাতের আয়োজন করেছিলেন। সকাল থেকেই সাজিয়ে তোলা হয়েছিলো মুন্নিকে। নতুন জামা কাপড় থেকে ফুলের মুকুট সব মিলিয়ে ঠিক যেন রাজকন্যা মাস সাতেকের মুন্নি।
কিন্তু আজ যেন শিশুবিভাগে বিষাদের ছায়া। ছলছল চোখ সিস্টারদের। কিছুতেই তাঁরা যেন মেনে নিতে পারছেন না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মুন্নিকে আজ তুলে দিতে হচ্ছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে। তাই তাঁদের একটাই চাওয়া, মুন্নি যেখানেই থাকুক না কেন, সে যেন সুখে থাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারো মুন্নি পান্না মানে মুন্নির মা যখন মুন্নিকে জন্মদেয় তখন মুন্নির ওজন কম ছিল তাই তাকে হাসপাতালের এসএনসিইউতে ভর্তি করা হয়। তারপর দু-একদিন মুন্নির মা সময় করে মুন্নির কাছে এলেও পরে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। হাসপাতালে দেওয়া ঠিকানাতে পাওয়া যায়নি তাঁকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই পুলিশে অভিযোগ করে। সিস্টার ও নার্সরাই এগিয়ে আসেন মুন্নির দেখভালে। আর সেই থেকেই ‘baby of Munni Panna’ তাঁদের কাছে হয়ে উঠে শুধুই মুন্নি। কেউ কেউ আবার নতুন নামও রাখেন আদর করে। আর সেই থেকে ৬ মাস ধরে এরাই হয়ে ওঠেন মুন্নির আপনজন।