পূর্ব বর্ধমান জেলার অজয়, ভাগীরথী, দামোদর নদ সহ একাধিক নদীর বাঁধ ভাঙন এবং চলতি বর্ষার মরশুমে সেচ দফতরের বিভিন্ন কাজের বিষয় নিয়ে শুক্রবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। এদিন এই বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অনির্বাণ কোলে সহ বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি, জেলা পরিষদের মেণ্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক, কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি, মহম্মদ ইসমাইল সহ মহকুমাশাসকরা এবং জেলার সেচ দফতর ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকারা।
এদিন জেলাশাসক জানিয়েছেন, অজয়, ভাগীরথী, দামোদর সহ বিভিন্ন নদীর পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে কি কি কাজ এখনই করা দরকার। একইসঙ্গে নদী ভাঙন রোধে সেচ দফতরকে পরিকল্পনা তৈরি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এদিন এই বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক বাঁকা নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাঁকা নদীতে শক্তিগড় মসজিদপাড়া এলাকা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেই বিধায়ক গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। এদিনের বৈঠকে তিনি বাঁকার এই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান।
অন্যদিকে, জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে জামালপুরে দামোদর সহ মুণ্ডেশ্বরী নদীর ভাঙন এবং অমরপুর ব্রিজ তৈরি নিয়ে বিধায়ক অলোক মাঝি সরব হন। তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই অমরপুরে ব্রিজের দাবি রয়েছে। তাই গুরুত্বসহকারে এই ব্রিজ নির্মাণের জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি বর্ষা নামার পর সেচ দফতরের এই বৈঠক না করে তা আরও আগে করা উচিৎ বলে এই বৈঠকে উপস্থিত অনেকে পরামর্শ দেন। এদিকে, এরই পাশাপাশি পূর্বস্থলীর জালুইডাঙায় গঙ্গার ভাঙনে রেল লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকবছর ধরে। কিন্তু এখনও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এব্যাপারে বারবার রেল দফতরকে জানানো হলেও তাঁরা কিছুই উত্তর দিচ্ছেন না। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জালুইডাঙার ভাঙন মেরামতের জন্য ১২ কোটি টাকা সেচ দফতর অনুমোদন করেছে। একইসঙ্গে কেতুগ্রামেও ভাগীরথীর ভাঙন রোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।