সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজে আরও গতি আনা এবং যশের প্রভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ক্ষয়ক্ষতি সহ দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পকে সামনে রেখে জেলা মনিটরিং কমিটির রিভিউ মিটিং হল। শুক্রবার জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলার বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ এবং জেলা রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারাও। এদিন এই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও। তিনি এদিন জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এবার সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন। এখনও পর্যন্ত কেনা হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। বাকি ধান কেনার জন্য এদিন রাইসমিলারদের বলা হয়েছে। এদিন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলাও জানিয়েছেন, সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য এদিন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
যদিও ধান কেনার এই বিষয় নিয়ে এদিন জেলা রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁদের হিসাবে এখনও পর্যন্ত ধান কেনা হয়েছে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। এদিন বৈঠকে আরও ৬০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি সহায়তায় তাঁরা ধান কিনতে রাজি। কিন্তু এখনও সরকার তাঁদের কাছ থেকে চাল নেননি। অবিলম্বে এদিন চাল সংগ্রহ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি হিসাবেই এখনও ৪০ হাজার চাষীর ধান দেওয়া বাকি রয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন। সেই ধানই কেনা হবে। অন্যদিকে, যশের প্রভাবে দুয়ারে ত্রাণ বিলির বিষয় নিয়ে এদিন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁরা ক্যাম্প করবেন। সেখানে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। আবেদনপত্র পরীক্ষার পর তা খতিয়ে দেখা হবে। এরপরই সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থদের অ্যাকাউণ্টে টাকা দেওয়া হবে।