ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের ফোন করে এটিএম কার্ডের পিন নম্বর জেনে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট করার চক্রের হদিশ মিলল আসানসোলে। রবিবার আসানসোল পুলিশ ও সিআইডি’র সাইবার সেল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে আসানসোলের ইসমাইলের কোড়াপাড়া থেকে প্রতারণা চক্রের নয় পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই চক্রের সদস্যরা ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের ফোন করত। গ্রাহকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে গুগল কনট্যাক্টস-এ নিজেদের ফোন নম্বর ব্যাঙ্ক ম্যানেজার হিসাবে সেভ করে রাখত। এর ফলে গ্রাহকরা ‘ট্রু কলার’-এর মত অ্যাপ ব্যবহার করে ওই সব নম্বর সার্চ করলে নামের সঙ্গে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দেখাত। এর ফলে গ্রাহকদের কাছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারত। বার বার ফোন করে গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের গোপন তথ্য জানতে চাইলে গ্রাহকরাও তা দিয়ে দিতেন। এই ভাবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যের গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা মোবাইল ওয়ালেটে ট্রান্সফার করে নিত। তারা গত ছ’মাস ধরে আসানসোলের ওই ভাড়া বাড়ি থেকে চক্রের হয়ে কাজ করছিল।
সম্প্রতি আসানসোলের এক ব্যাক্তির ব্যাঙ্ক থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে আসানসোল পুলিশ ধানবাদ থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ আসানসোলের ওই চক্রের খোঁজ পায়। কিছুদিন ধরে নজর রাখার পর রবিবার ইসমাইলের কোড়াপাড়া থেকে পুলিশ পাকড়াও করে চক্রের সদস্যদের। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১৯টি মোবাইল ফোন, প্রায় ৩০০ সিম কার্ড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। ধৃতরা বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা। এই চক্রের মূল পাণ্ডা দেওঘরের এক ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজ্যে এই চক্র কাজ করছে বলে জানা গেছে।