রেলের স্বচ্ছতার বিশেষ সম্মানে সম্মানিত গর্বের দুর্গাপুর রেল স্টেশন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে স্টেশনের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ‘ভূতের ছবি’ নিয়ে গুজবের ঝড় চলছে। সাইট ব্যবহারকারীরা স্টেশনের রেল লাইনে সিসি ক্যামেরায় ‘ভূতের অবয়ব’ সহ ছবি পোস্ট করেছেন। এই নিয়ে বিভিন্ন মতামত চলছে সোশ্যাল সাইট গুলিতে। অনেকে রসিকতা করলেও অনেকে আবার বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না।
অনেকেই মনে করছেন গত কয়েকদিন আগেই সর্ব ভারতীয় স্তরে রেল স্বচ্ছতার নিরিখে দুর্গাপুর রেল স্টেশন পঞ্চম ও রাজ্যের প্রথম স্থান পাওয়ায় দুর্গাপুর রেল স্টেশন রাজ্যের অত্যাধুনিক মডেল স্টেশনের মর্যদা পেতে চলেছে। তাই কোন কোন পক্ষ থেকে দুর্গাপুর রেল স্টেশন কে নিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবেই অপপ্রচার করা হচ্ছে। একই কথা মনে করছেন ভারতীয় রেলের আসানসোল ডিভিশনের পদস্থ আধিকারিকরাও। যাত্রীদের স্টেশন সংক্রান্ত কোন গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ করছেন রেলের আধিকারিকরা।
সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ভূতের ছবি নিয়ে গুজবের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে দুর্গাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার নব কুমার দাসের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি বর্ধমান ডট কমকে বলেন, দুর্গাপুর রেল স্টেশনে এখনও পর্যন্ত কোন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়নি। সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সবে মাত্র শুরু হয়ছে। সেখানে ভূতের ছবি কি ভাবে সিসি ক্যামেরায় উঠল রেলের আধিকারিকরাই এখবরে তাজ্জব হয়ে গেছেন। নব কুমার বাবু আরও বলেন, বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ ভূতের কুসংস্কার স্বীকার করে না। স্বচ্ছতার পুরস্কারে পুরস্কৃত গর্বের স্টেশনকে নিয়ে যাত্রীদের মনে ভয় ঢোকাতেই এটা একটা অপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। স্টেশন ম্যানেজার গুজবে কান না দিতে যাত্রীদের অনুরোধ করেন। একই কথা বলেন বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা। তাঁরাও বলেন, স্টেশনের সকল কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ও যাত্রীদের সচেতনতার জন্যই আজ দুর্গাপুর রেল স্টেশন স্বচ্ছতার বিশেষ পুরস্কার পেয়ে সর্বভারতীয় স্তরে রেলের মানচিত্রে বিশেষ স্থান দখল করেছে। আর সেই রেলের কর্মী ও যাত্রীদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ।