ওড়গ্রাম হাই মাদ্রাসার ৩ ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বর্ধমান হাসপাতালের জরুরী বিভাগেই তিন ছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতাড়ের ওড়গ্রাম চতুষ্পল্লী হাইমাদ্রাসার তিন ছাত্রী নাসিমা খাতুন, নাসরিন সুলতানা ও মমতাজ খাতুন বর্ধমান হাই মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে আসে। শনিবার ছিল মাদ্রাসার আরবি ভাষার পরীক্ষা।
জানা গেছে, পরীক্ষা শুরুর আগেই নাসিমা খাতুন অসুস্থ বোধ করায় তাকে স্কুলেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। একটি রিজার্ভ রুমে তার চিকিৎসা চলার সময় আরও দুই ছাত্রী নাসরিন সুলতানা ও মমতাজ খাতুনও অসুস্থ বোধ করায় তাদের একই রুমে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরও তারা অসুস্থতা না কমায় তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ বোধ করায় ছাত্রীদের ইচ্ছাতেই হাসপাতালের একটি কক্ষে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
ওড়গ্রাম চতুষ্পল্লী হাই মাদ্রাসার শিক্ষক সেখ আনোয়ারুল হক জানিয়েছেন, ছাত্রীদের স্কুলেই প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ডাক্তারবাবুরা জানিয়েছেন, টেনশনের কারণে অসুস্থ হয়েছে। আপাতত তারা অনেকটাই সুস্থ এবং বর্ধমান হাসপাতালের জরুরী বিভাগের আপৎকালীন মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে বসেই তারা পরীক্ষা দিচ্ছে। অসুস্থ ছাত্রীদের বাড়ি ওড়গ্রাম ও ওড়গ্রাম সংলগ্ন শিবদা এলাকায় বলে স্কুলের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
অভিভাবক হাসনাহেনা বেগম জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে নাসিমা খাতুন ওড়গ্রাম হাই মাদ্রাসার ছাত্রী। তার পরীক্ষার সিট পড়েছে বর্ধমানের নবাবহাট এলাকার বালিঘাট হাই মাদ্রাসায়। তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষা শুরুর পরই হঠাৎই তাঁর মেয়ে নাসিমা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে খবর পেয়েই তাঁরা চলে আসেন। নাসিমাকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসনাহেনা বেগম জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে পড়াশোনায় ভাল। সম্ভবত, পরীক্ষা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার কারণেই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সাহু জামাল শাহ জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে মমতাজ খাতুন পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করে। খবর পেয়েই তাঁরা চলে আসেন। তাকেও নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। আউশগ্রামের শিবদার বাসিন্দা অভিভাবক আকতার হোসেন জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে নাসরিন সুলতানা পরীক্ষা শুরুর পরই শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকে। খবর পেয়েই তাঁরা স্কুলে চলে আসেন। তিনজন ছাত্রীকেই হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাদের চিকিৎসা হয়। একইসঙ্গে হাসপাতালেই তাদের পরীক্ষা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়।