এবার মাধ্যমিকে ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে বর্ধমান সিএমএস স্কুলের ছাত্র সৌনক ব্যানার্জী। সৌনকের বাবা টোটো চালক এবং মা গৃহবধূ। সৌনকের মা বলেন, ‘সৌনকের বাবা টোটো চালিয়ে মাসে হাজার পাঁচেক টাকা আয় করেন। সেই টাকায় কোন রকমে সংসার চলে। করোনা কালে অনলাইন ক্লাস করতে খুব সমস্যা হয়েছিল। কোনরকমে একটা স্মার্টফোন কিনে ক্লাস করেছিল সৌনক। কোন টিউশন দিতে পারি নি, কিন্তু কয়েকজন শিক্ষক সৌনককে বিনা পারিশ্রমকে টিউশন পড়িয়েছেন।’ তিনি আরও জানান, স্কুল থেকে সৌনক সমস্ত রকম সাহায্য পেয়েছে। সৌনকের এই সাফল্যের পিছনে সকলের অনেক অবদান আছে। সৌনক জানায়, সে বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। সে কয়েন সংগ্রহ এবং আবৃত্তি করতে পছন্দ করে। এছাড়াও ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলতেও ভালবাসে।
সিএমএস স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় বলেন, ‘সৌনক অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। তার দারিদ্রতার কথা জানতে পেরে স্কুল থেকে সৌনককে আমরা তার প্রয়োজনমত নানাভাবে সাহায্য করেছি। একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য তার যাবতীয় ফি মুকুব করে দিয়েছি। ভবিষ্যতেও স্কুল থেকে আমরা তাকে সাধ্যমত সাহায্য করব।’