সম্প্রতি বর্ধমান পুরসভায় যে নতুন প্রশাসক বোর্ড তৈরি করেছিল রাজ্য পৌর ও নগর উন্নয়ন দফতর – সেই বোর্ডে সহ-প্রশাসক হিসাবে আইনুল হককে বসানো হয়েছিল। পরে পুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নিয়মানুযায়ী প্রশাসক বোর্ড ভেঙে যায়। কিন্তু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে আইনুল হককে প্রার্থী না করায় শহর জুড়েই শুরু হয় চর্চা। যদিও প্রশাসক বোর্ড ভেঙে যাওয়ার পর আইনুলবাবুকে রাজ্যের শাসকদল ভাল কোন পদে আনতে চলেছে বলে চর্চা ছিলই। মঙ্গলবার তাতেই সিলমোহর পড়ল।
এদিন দুপুরে আইনুলবাবু বিডিএ-র ভাইস চেয়ারপার্সন হিসাবে কাজে যোগ দিলেন। তাঁকে অভিনন্দন জানাতে হাজির ছিলেন পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতাও। এদিনই বিডিএ-র নতুন বোর্ডের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন বিডিএ-র চেয়ারপার্সন কাকলী গুপ্ত তা, ভাইস চেয়ারম্যান নবনিযুক্ত আইনুল হক সহ বোর্ড সদস্য জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার সহ অন্যান্যরাও।
এদিন আইনুল হক জানিয়েছেন, বিডিএ তৈরি হবার সময় (বাম আমলে) থেকে তিনি বিডিএ-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাঝখানে তিনি ছিলেন না। রাজ্য সরকার তাঁকে এই পদে বসানোয় চেষ্টা করবেন বৃহত্তর বর্ধমান শহরের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করার জন্য। তিনি জানিয়েছেন, বিশেষভাবে তাঁরা নজর দিচ্ছেন বিভিন্ন টাউনশিপের উন্নয়ন, বিডিএ-র অধীন বিভিন্ন জমির সুষ্ঠ ব্যবহার ইত্যাদি। অন্যদিকে, চেয়ারপার্সন কাকলী গুপ্ত তা জানিয়েছেন, আইনুলবাবু অত্যন্ত অভিজ্ঞ। এতদিন তিনি পুরসভা চালিয়েছেন, একসময় বিডিএ-র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ফলে তাঁকে নিয়ে তাঁরা বর্ধমানের উন্নয়নের কাজ ভালভাবে করতে পারবেন বলে আশা করছেন।