এবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে অভিযান চালিয়ে আন্তঃরাজ্য গাঁজা পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। কিছুদিন আগেই বর্ধমান শহরে চলা হেরোইনের আন্তঃরাজ্য কারবারের পর্দা ফাঁস করেছিল এসটিএফ।
রবিবার ভোরে পূর্বস্থলীর শিবতলা এলাকায় অতর্কিতে অভিযান চালায় এসটিএফ। উদ্ধার হয় ট্রাক-ভর্তি গাঁজা। গ্রেফতার গাঁজা কারবারের মূল পাণ্ডা সহ ৫। অবৈধ এই কারবারের জাল কতদূর ছড়িয়েছে তা জানতে ধৃতদের দফায়-দফায় জেরা করছেন পুলিশ অফিসাররা। ধৃতদের মধ্যে হরেকৃষ্ণ বালা ওরফে মরণ বালা ও শুভঙ্কর বালা পূর্বস্থলীর বাসিন্দা। খাম্বি সিং নামে ধৃত আসামের বাসিন্দা। আর দু’জন খয়াইরাকপাম বুংবা সিং ও মোতিলাল সিং মণিপুরের বাসিন্দা। ধৃতদের আজ বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
এসটিএফ সূত্রে জানা গেছে, গাঁজা ভর্তি একটি ট্রাক মণিপুর থেকে পশ্চিমবঙ্গের পূর্বস্থলীতে যাচ্ছে বলে সূত্র মারফত খবর মেলে। মরণ বালা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ওই ট্রাক খালি করা হবে বলেও খবর পান এসটিএফের আধিকারিকরা। এরপরই অভিযানের ছক সাজায় এসটিএফ। পূর্বস্থলীর শিবতলা এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। মরণ বালা নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি আগেভাগে ঘিরে ফেলা হয়। রবিবার ভোর রাতে এলাকায় ওই ট্রাক ঢুকতেই আটক করে পুলিশ। ওই ট্রাকে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ গাঁজা।
এসটিএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া গাঁজার পরিমাণ ৮২৪ কেজি। গাঁজা উদ্ধারের পরেই ওই ট্রাকের চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়। গাঁজা কারবারি সন্দেহে মরণ বালা ও তাঁর ছেলে শুভ বালাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দফায়-দফায় চালানো জিজ্ঞাসাবাদে শেষমেশ মরণ ও তাঁর ছেলে শুভ অবৈধ এই কারবারের কথা স্বীকার করে নেন। এরপরেই এসটিএফ তাঁদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হয়েছে বাবা-ছেলের এক শাগরেদও। আন্তঃরাজ্য গাঁজা কারবারের মূল পাণ্ডা ধৃত মরণ বালা নামে ওই ব্যক্তিই। এমনই দাবি এসটিএফের।