একদিকে, দামোদর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জল এবং অন্যদিকে, লাগাতার বৃষ্টির জেরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতির কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই বিষয়ে বর্ধমানে পর্যালোচনা বৈঠক হল রাজ্যের দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা সহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, বিধায়ক এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও।
বৈঠকের পর স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন এই বৈঠকে জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জেলায় মোট ৫৪৪৭জন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। ১৬৪টি বাড়ির সম্পূর্ণ ক্ষতি এবং ৫০৮টি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জেলা কৃষি দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোয়ার কাজ হয়েছিল। যার মধ্যে ৯৮ হাজার হেক্টর জমি জলে প্লাবিত হয়েছে। কিন্তু কৃষি দফতর থেকে জানানো হয়েছে এর মধ্যে ১৮ হাজার হেক্টর এলাকার ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, রায়না ১ ও ২ ব্লকে মোট ৪টি পরিবার এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। এদিন এই দুই ব্লক পরিদর্শন করতে যান তিনি।
অপরদিকে, এদিন বর্ধমানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এই সমন্বয় বৈঠকের পর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে রাজ্য প্রাণী হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলা পরিষদের মেণ্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম। পরে তিনি জানিয়েছেন, এই করোনা পরিস্থিতিতেও গত জুলাই মাসে ১৮০০ প্রাণীর চিকিৎসা হয়েছে এই হাসপাতালে। গড়ে প্রতিমাসে ৭০০ থেকে ৮০০ প্রাণীর চিকিৎসা হচ্ছে এখানে। এমনকি এখানকার ল্যাবরেটরীকে রাজ্যস্তরের ল্যাবরেটরী হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে বলেও তিনি এদিন জানান।