গত দিন সাতেক ধরেই এক ভবঘুরেকে দেখা যাচ্ছিল পাণ্ডবেশ্বরের বিভিন্ন জায়গায়। আজ সকালেও ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর সেই ভবঘুরে পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। হঠাৎ ‘পাণ্ডবেশ্বর আশার আলো’ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্মী তাঁকে দেখতে পান। তিনি বিষয়টি তাঁদের সংগঠনের সকলকে জানান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সকলে চলে আসেন ওই এলাকায়। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হওয়া ভবঘুরেকে তাঁরা প্রথমে পেট ভরে খাবার খাওয়ান। তারপর তাঁর নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করা হয়, কিন্তু তিনি তাঁর নাম বা ঠিকানা বলতে পারেন নি।
তাঁকে খাবার দেওয়ার পর ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমস্ত সদস্যরা মিলে তাঁর মাথা ঢাকা বড় বড় চুল আর এক মুখ দাড়ি কেটে স্নান করান তাঁকে। পরনের নোংরা জামা-কাপড় পাল্টে নতুন প্যান্ট-শার্ট পরিয়ে দেওয়া হয় ওই ভবঘুরেকে। এখানেই শেষ নয়, স্থানীয় চিকিৎসালয়ে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। এরপর ওই ভবঘুরের জন্য পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি অস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়ছে বলে জানান সংস্থার সভাপতি শুভজিৎ চ্যাটার্জী। যতদিন না পর্যন্ত তাঁর নাম বা পরিচয় জানা যাবে, ততদিন পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় ওই অস্থায়ী জায়গায় তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তাঁর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান সংস্থার সদস্যরা। ভবঘুরে যুবকটি তাঁর পরিচয় না দিতে পারায় তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যদি তাঁর পরিচয় জানা যায় এই আশায়। আশার আলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা করোনা অতিমারির সময় এক অসহায় ভবঘুরের পাশে দাঁড়ানোয় তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন।