গত কয়েকদিন ধরেই বেসুরো পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বিজেপিতে যেতে পারেন বলে জল্পনাও চলছে। দিন দুয়েক আগে বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে থাকা শুভেন্দু অধিকারীর সাথে গোপন বৈঠকও করেন সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে। গতকালই আসানসোল পুরসভার প্রশাসক এবং জেলা সভাপতির পদ ছেড়েছেন। এই ঘটনায় পাণ্ডবেশ্বর এলাকাজুড়ে দলের মধ্যে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। যার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্য করা যায় বৃহস্পতিবার বিকেলে। জেলা সভাপতির পদ ছাড়ার পরই গতকাল বিকেলে হরিপুর কোলিয়ারি চত্বরে থাকা বিধায়ক অফিসটির দখল নেয় দলের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুগামীরা।
আজ, শুক্রবার দলের তরফে এলাকায় নরেন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হয় বিশাল মিছিল। এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ স্থানীয় ডিভিসি মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শেষ হয় পাণ্ডবেশ্বর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায়। এদিনের মিছিলে প্রায় ১০ হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন বলে দলের তরফে দাবি করা হয়। এতদিন এলাকায় যারা বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন এদিনের মিছিলে তাঁরাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। মিছিল শেষে স্টেশন চত্বরে একটি সভা হয়। সেখানে বক্তৃতায় নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ‘জিতেন্দ্র বেইমান, বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর। দলকে পেছন থেকে ছুরি মেরেছে। বেইমানদের জায়গা তৃণমূলে নেই। বিজেপির হয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি যদি কখনও পান্ডবেশ্বরে আসেন তাহলে তাঁর পা ভেঙে ফেলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন নরেনবাবু। মিছিল শেষে জিতেন্দ্র তিওয়ারির কুশপুতুলও পোড়ানো হয় দলের তরফে।