জেলা সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিধায়ক কার্যালয়ের দখল নিল তৃণমূল ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের হরিপুর কোলিয়ারি এলাকায়। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ইতিমধ্যে তিনি আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র ও দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিধায়কের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পাণ্ডবেশ্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। নিজের পিঠ বাঁচাতে বিধায়ক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
বিধায়কের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে এতদিন কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারি জেলা সভাপতির পদ ছাড়তেই ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেন নরেন্দ্রনাথবাবু। গত দু-তিন দিন ধরে তিনি এলাকার সমস্ত পুরানো কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন বলেও দলীয় সূত্রে খবর। আজ বিকেল চারটে নাগাদ হরিপুর কোলিয়ারি এলাকায় বিধায়কের কার্যালয়ের দখল নেন নরেন্দ্রনাথবাবুর অনুগামীরা। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রনাথবাবু নিজেও। কার্যালয়ের দখল নিয়ে কার্যালয়ের ভিতরে থাকা জিতেন্দ্রবাবুর সমস্ত ছবি ছিঁড়ে বাইরে ফেলে দেন তাঁরা। দুর্গা পুজোর সময় এই কার্যালয়টির উদ্বোধন করেছিলেন কর্ণেল দীপ্তাংশু রায়চৌধুরী। তিনিও দল ও প্রশাসনের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা তাঁর নামের ফলকটিও উপড়ে ফেলেন। ঘটনা প্রসঙ্গে নরেনবাবু জানান, এটি তৃণমূলের কার্যালয়। এটিকে বিধায়ক নিজের কার্যালয়ে বানিয়ে ছিলেন। তৃণমূলে বেইমান-বিশ্বাসঘাতকদের কোন জায়গা নেই। তাই কার্যালয় থেকে বিধায়কের সমস্ত ছবি-ফটো বের করে দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে এই কার্যালয়ে শুধুমাত্র তৃণমূলের লোকেরা বসবে বলে জানান তিনি।