বর্ধমান শহরের সুভাষ পল্লী এলাকায় সোমবার এক করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ার পর তাঁকে দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে সিল করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় ওষুধের দোকান ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর যাবতীয় প্রয়োজন পুলিশকে জানালে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে এবং মানুষ যাতে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন সেই জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতন করার কাজও চলছে। বুধবার সুভাষ পল্লী এলাকায় ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে পুলিশ নজরদারি চালায়।
উল্লেখ্য, সোমবার বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী এলাকায় একজন নার্সের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তিনি কলকাতার একটি হাসপাতালের নার্স। কয়েকদিন আগেই তিনি কলকাতা থেকে বর্ধমানে ফেরেন। উপসর্গ থাকায় ৪ তারিখে বর্ধমান মেডিকেলে তাঁর নমুনা পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তারপরই সুভাষপল্লী এলাকা সিল করে দেয় পুলিশ। এলাকার বাইরে বের হওয়া ও ভিতরে ঢোকা নিষেধ। এমনকি এলাকার মানুষদের ঘরের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বাড়ি থেকে না বের হওয়া ও দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করে জরুরি পরিষেবার জন্য পুলিশ কর্মীদের নম্বার দেওয়া হয়েছে। ফোন করলেই জরুরি পরিষেবার জিনিসপত্র বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ প্রতিদিন ২-৩ বার ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে দেখছে বাড়ির বাইরে কেউ বের হচ্ছে কিনা। এর আগে খণ্ডঘোষের বাদুলিয়াতে দু’জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। কয়েকদিন আগেই তাঁরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখনও বাদুলিয়া এলাকা সিল করে রেখেছে পুলিশ।