পুলিশ ও আবগারি দফতর যৌথ অভিযান চালিয়ে আগেই চোলাই রাখার জন্য তৈরি ‘বাঙ্কার’ ধ্বংস করে। শনিবার ফের বর্ধমানের সেই বিজয়রাম এলাকায় চোলাইয়ের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ ও আবগারি দফতর। এদিনও প্রচুর চোলাই ও চোলাই তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত হয়। চরণ দাস নামে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়। এরপরই অভিযানের সময় ধাক্কাধাক্কিতে এক মহিলার মৃত্যু ও আর এক মহিলার হাত ভেঙে গেছে বলে দাবি করেন এলাকার বাসিন্দারা।
বিজয়রামের চোলাই কারবারিরা বলেন, ‘বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করে দিলে এই বেআইনি কারবার থেকে সরে আসতে তারা প্রস্তুত।’ পুলিশ ও আবগারি দফতর চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিজয়রাম এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি মহিলাদেরও মারধর করছে। পুলিশের ঠেলা খেয়ে পড়ে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এদিন টুনি দাস নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। মেনকা দাস নামে এক বৃদ্ধার হাত ভেঙে গেছে বলেও অভিযোগ। পুলিশ ও আবগারি দফতরের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এদিন বর্ধমান-কাটোয়া রোড অবরোধ করে চোলাই কারবারিরা।
আবগারি দফতরের বক্তব্য, দোলের সময় চোলাইয়ের চাহিদা বাড়ে। তার আগে অভিযান ঠেকাতেই মারধরের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। তবে চোলাই কারবারিরা এই পেশা থেকে সরে আসতে চাইলে তাঁদের বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। জেলাশাসকের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে কথা হয়েছে।