সোমবার সন্ধ্যায় আসানসোলের চিনাকুড়ি এলাকায় গুলি করে খুন করা হল যুবককে। খুনের পর দেহ ফেলে দেওয়া হয় পরিত্যক্ত খাদানে। মৃতের নাম সঞ্জিত পাশোয়ান (৪০)। কুলটি থানার চিনাকুড়ি ২ নম্বর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় আসানসোলের কুলটি থানার চিনাকুড়ি ২ নম্বর এলাকার মানুষজন গুলি চালানোর আওয়াজ শুনতে পান। বৃষ্টির মধ্যেই স্থানীয় মানুষজন বেরিয়ে এসে দেখেন একটি নির্জন জায়গায় চাপ চাপ রক্ত পড়ে আছে এবং পাশেই রয়েছে একটি বাইক। বাইকেও রক্ত লেগে আছে। আশেপাশে কেউ কোথাও নেই। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু বৃষ্টি এবং রাতের অন্ধকারে কিছুই পাওয়া যায় নি। যদিও পুলিশ জানতে পারে বাইকটি সঞ্জিত পাশোয়ান নামে স্থানীয় এক যুবকের।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ফের তল্লাশি শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিমি দূরে বিনোধবাঁধ এলাকয় একটি পরিত্যক্ত খাদান থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। মৃতদেহটি সঞ্জিত পাশোয়ানের। সঞ্জিতকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি চালানোর পর হাত-পা ও গলার নলি কেটে ফেলে দেওয়া হয় পরিত্যক্ত খাদানে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই রাতে চিনাকুড়ি ২ নম্বর এলাকায় বিয়ের আসরে অশ্লীল নাচ-গান নিয়ে ঝামেলাকে কেন্দ্র করে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন সুমিত্রা দেবী নামে এক প্রৌঢ়া ও রাজকুমার সিংহ নামে এক যুবক। বাঁশ, রডের ঘায়ে জখম হন আরও কয়েকজন। এর বছর খানেক পর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রাজকুমার সিংয়ের। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল এই সঞ্জিত পাশোয়ান। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলেও পরে জামিনে মুক্ত হন। এবার সেই রঞ্জিত পাশোয়ান খুনে অভিযোগের তীর রাজকুমার সিংয়ের স্ত্রী এবং তাঁর দুই তুতো ভাইয়ের দিকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ পেয়ে রাজকুমার সিংয়ের স্ত্রী সহ দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।